ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে গলাচিপার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গলাচিপা উপজেলার চর কারফারমা, চর বাংলা, বড় কাজল, ছোট কাজল, ছোট শিবা ও পৌরসভার বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গলাচিপা উপজেলার সর্বত্র বাতাস বইছে এবং বৃষ্টি হচ্ছে।জানা গেছে, উপজেলা গোলখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোলখালী গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকেটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এদিকে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের বদনাতলী ফেরিঘাটের উত্তর পাশের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে ঐ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
চরকাজল ইউনিয়নের দফাদার মাসুদ পারভেজ জানান, চরকাজল ইউনিয়নের নির্মানাধীন বেড়িবাঁধ অনেকাংশে না থাকায় এসব জায়গা থেকে পানি প্রবেশ করছে। ১নং থেকে ৫নং ওয়ার্ড তলিয়ে গেছে। ফলে বড় কাজল, ছোট কাজল ও ছোট শিবার প্রায় ২৫ হাজার লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বেশি ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসার কাজ চলছে।আম্পান মোকাবেলা গলাচিপা উপজেলা কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রানহানী রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৩টি টিম মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই কিছু মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করছে। ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাকি মানুষজন সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে।
গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিন জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গলাচিপা পৌরসভার বেড়িবাঁধের বাইরে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে আনার কাজ চলছে। সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় উপজেলায় এখনো কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।